উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দীর্ঘ ২৪ বছর পর উত্তর কোরিয়ায় সফরে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে পিয়ংইয়ং সুনান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
এসময় তাকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। দুই দিনের এই সফরে দেশ দুটির মধ্যে অংশীদারি চুক্তি সই হতে পারে। যা তাদের মধ্যে নিরাপত্তাসহ নানা ধরনের সহযোগিতা বাড়বে।
উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে গতকাল মঙ্গলবার পূর্ব সাইবেরিয়ার শহর ইয়াকুতস্কে যান পুতিন। সেখান থেকে তিনি উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। পুতিনের সঙ্গে সফরে দেশটির বিভিন্ন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একটি প্রতিনিধিদল রয়েছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও পুতিনের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক।
পুতিন সর্বশেষ উত্তর কোরিয়া সফরে গিয়েছিলেন ২৪ বছর আগে ২০০০ সালের জুলাইয়ে। তখন উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন কিম জং ইল, যিনি দেশটির বতর্মান নেতা কিম জং-উনের বাবা। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এবছরই পুতিন উত্তর কোরিয়ায় এই বিরল সফরে যাচ্ছেন। রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক যে গভীর হয়েছে- এটি তারই সর্বশেষ উদাহরণ।
গত বছরের সেপ্টেম্বর রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। তখন তিনি পুতিনকে পিয়ংইয়ংয়ে নিমন্ত্রণ জানান। সেই নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন পুতিন। পুতিনের সঙ্গে সফরে দেশটির বিভিন্ন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একটি প্রতিনিধিদল থাকবে। এসব ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও পুতিনের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক।
সফরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তিনি বলেন, চুক্তিটি দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াবে। গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশ দুটির মধ্যে যা হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেই এই চুক্তি সই করা হবে। তবে এ চুক্তি সরাসরি কোনো দেশকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না।